রক্তাক্ত জামা |
ক্রাইম ডেস্কঃ বাংলাদেশ ই-সংবাদ
ঝিনাইদহের সদর উপজেলার কালিকাপুর কাজী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে সনজেরকে কুপিয়ে জখম করেছে গনি কাজীর তিন ছেলে ও ভাড়াটে সন্ত্রসীরা।
কালিকাপুর গ্রামের প্রত্যাক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ ও খালেকের বক্তব্য অনুযায়ী, দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কালিকাপুর কাজী পাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে প্রফেসর সনজেরকে কুপিয়ে জখম করেছে গনি কাজীর তিন ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪০),আনোয়ার (৩০),রিজু (৪৫) ও ভাড়াটে সন্ত্রসী হাফিজ (৩৫)।
আহত সনজেরের বড় কন্যা মিমির সুত্র মতে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর কাপাসাটিয়ার হাজী এরশাদ আলী ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর সনজের আলীর সাথে পাশের বাড়ির গনি কাজীর জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
সনজের নিজের বসত বাড়ির পাশে আলাদা ঘর করে ভাড়ায় দিয়েছেন। তার ভাড়ায় দিয়া ঘরের জমি দখল করতে গনি কাজীর তিন ছেলে প্রায়ই হুমকি ধামকি দেয়।
জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিভিন্ন অফিস-আদালত, কোর্টের রায়ও আসে প্রফেসর সনজেরের পক্ষে। বিভিন্ন অফিস-আদালত ও কোর্টের রায় গনির বিপক্ষে গেলে, গনির তিন ছেলে ও গনির ভাড়াটে হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রফেসর সনজেরকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে।
মিমি আরো জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১টার দিকে প্রফেসর সনজের তার নতুন বাড়ি থেকে নিজের পুরানো বাড়িতে আসতে এস আই মিজানের বাড়ির সামনে পুকুরের কাছে পৌছানো মাত্রই পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে গনি কাজীর তিন ছেলে ও ভাড়াটে হাফিজ প্রফেসর সনজের আলীর উপরে ঝাপিড়ে পড়ে উপর্যুপরি রামদা দিয়ে কুপাতে থাকে।
সনজের তার নিজের জীবন রক্ষার্থে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেয়। সনজের আলীর আর্তচিৎকারে পাশের দোকানে বসে থাকা জনৈক গনি, সুমন হোসেন, সুমন আলী, জাহাঙ্গির সহ স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে সনজের কে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ রেফার্ড করেন।
এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত প্রফেসর সনজের আলীর ছোট ভাই জাহাঙ্গিও সাংবাদিককে জানান, এখনও সনজের আলীর অবস্থার উন্নতি হয় নাই। সম্ভবত আজ রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হতে পারে।
এ ঘটনায় গনির ছেলে-আনোয়ারের স্ত্রী রিমা খাতুন সাংবাদিককে বলেন, সনজের আলীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা সত্য, কিন্তুু ঘটনার সময় আমার স্বামী আনোয়ার ঘটনাস্থলে ছিলোনা।
সে মাগুরায় রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে মাগুরায় অবস্থান করে। আমার স্বামী আনোয়ার ছাড়া-মনোয়ার হোসেন, রিজু ও ভাড়াটে হাফিজ প্রফেসর সনজেরকে কুপিয়ে জখম করে।